পোস্টগুলি

ধর্মসংস্কার আন্দোলন

ছবি
                 । ধর্মসংস্কার আন্দোলন । ১) ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বলতে কী বোঝো?  ইউরোপে পোপের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাকে রিফরমেশন বা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বলা হয়। ২) ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের কারণগুলি কি ছিল? ক ) গির্জা ও পোপের দুর্নীতি - আমরা জানি খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু ছিলেন পোপ। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলে মনে করতেন। যুগ যুগ ধরে সাধারণ ব্যক্তিদের দানে গির্জার সম্পত্তি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং এভাবে অনেক জমির মালিক ছিল গির্জা। কিন্তু এর জন্য গির্জাকে কোন ধরনের কর দিতে হতো না। উল্টে সাধারণ গরিব মানুষকে নানা ধরনের কর (Tax) দিতে হতো। যেমন ধর্ম কর, বার্ষিক কর, জন্ম কর, মৃত্যু কর প্রভৃতি। পোপ এই টাকা নিজেদের ভোগ ও বিলাসে ব্যয় করতেন এবং অনৈতিক জীবন যাপন করতেন। মদ্যপান ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী। তখন নানা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতেন। তারা ঈশ্বরের উপাসনা বাদ দিয়ে জাঁকজমক সহ রাজনৈতিক প্রধানী যুক্ত হতেন। পপেরা ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা করতেন ও স্বর্গের লোভ দেখিয়ে তাদের কাছে একপ্রকার ছাড়পত্র ...

সাহিত্যে নবজাগরণ

ছবি
  সাহিত্যে নবজাগরণ সাহিত্যে নবজাগরণ :   দান্তে আলিঘেরি : ইতালীয় নবজাগরণের অন্যতম মহাকবি ছিলেন দান্তে আলিঘেরি। ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করল মাতৃভাষা তাসকান ভাষায় রচনার পক্ষপাতী ছিলেন। এই  ভাষা থেকে আধুনিক ইতালিও ভাষার সৃষ্টি। তার রচিত 'ডিভাইন কমেডি' ইতালীয় ভাষায় রচিত এক অমর সৃষ্টি। এই কাব্যগ্রন্থে মধ্যযুগীয় জীবনধারার সমালোচনা মানুষের প্রেম ভালোবাসা দেশপ্রেম এইসব লেখা আছে। এনাকে ইতালীয় নবজাগরণের অগ্রদূত বলা হয় । ফ্রান্সিসকো পেট্রার্ক : ইনি ছিলেন ফ্লোরেন্সের অধিবাসী। এনাকেই মানবতা বাদের প্রবর্তক ও এই যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী বলা হয়। তিনি সনেট বা চতুর্দশ পদী কবিতার জনক হিসেবে পরিচিত। ইতালিয়া মনীষীদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম হোমারের লেখা ইলিয়াড ও ওডিসি কাব্যের ল্যাটিন অনুবাদ করেন। কার লেখা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম হল 'সনেট টু লরা'। গিভানি বোকাচ্চিও : এনেছিলেন পেট্রার্ক এর শিষ্য এবং একজন বিশিষ্ট কবি। তাকে ইতালীয় গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। তার লেখা 'ডেকামেরন' একটি জীবনমুখী কাব্যগ্রন্থ। এটি তার রচিত একশটি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ তিনি সমাজের নানা দুর্নীতি তু...

ইউরোপের নবজাগরণ

ছবি
  ইউরোপের নবজাগরণ  ১. নবজাগরণ এর অর্থ কি ?  👉   নবজাগরণ কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পুনর্জন্ম। নবজাগরণ বা রেনেসাঁস কথাটি হল একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ। মধ্যযুগে মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের কোন সুযোগ ছিল না। মানুষের  মানুষের চিন্তা ও মানসিক বৃত্তি সম্পূর্ণভাবে গির্জার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। সেদিন মানুষের স্বাধীনভাবে চিন্তা করা বা মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা ছিল না। দীর্ঘদিনের জড়তার পর কাল ক্রমে এক বলিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তাধারায় মানুষের বিকাশ ঘটতে থাকলো। এই বিকাশকেই নবজাগরণ বা রেনেসাঁস বলা হয়। ২. নবজাগরণের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি আলোচনা কর। 👉    নবজাগরণ কোন হঠাৎ ঘটা ঘটনা নয়। দীর্ঘ বিবর্তনের ফলে পঞ্চদশ ষোড়শ শতকে নবজাগরণ নিজের রূপ পরিগ্রহ করে। তাই নবজাগরণের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো - ১. যুক্তিবাদ- মধ্যযুগে সবকিছুই ছিল ধর্ম নির্ভর। গির্জাতে তো ধর্মযাজক রাইছিলেন মানব জীবনের ও মানব জীবনের মূল নিয়ন্ত্রক। এ যুগের মূল কথাই ছিল সবকিছু মেনে নাও কিছু জানতে চেয়ো না। গির্জা বিরোধী যে কোন বক্তব্য ছিল ক্ষমার অযোগ্য। এই সম...

ধুলা মন্দির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা

ছবি
 

হঠাৎ গ্রেপ্তার হলে কি করবেন? কিছু আইনি পরামর্শ।

ছবি
  হঠাৎ গ্রেফতার হলে কী করবেন ? কিছু আইনি পরামর্শ, জেনে রাখুন।  1. বিনা ওয়ারেন্ট অথবা 41crpc নোটিশ না দিয়েপুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না। 2. গ্রেফতারের সময় আপনাকে গ্রেফতারের কারণ, গ্রেফতারকারী অফিসারের নাম, গ্রেফতারের সময় ও স্থান সম্পর্কিত একটি মেমো পুলিশ আপনাকে বা আপনার বাড়ির লোককে দিতে বাধ্য। এই জিনিসটি অবশ্যই চেয়ে নেবেন। মামলার ক্ষেত্রে এটির গুরুত্ব অপরিসীম। 3. গ্রেফতার করার 24 ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আপনাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির করতে বাধ্য এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া আর একদিনও আপনাকে অতিরিক্ত আটকে রাখতে পারে না। কোর্ট ছুটি থাকলে সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের বাড়িতে আপনাকে হাজির করাতে হবে। 4. মহিলা পুলিশ ছাড়া কোনওভাবেই কোনও মহিলাকে গ্রেফতার বা তল্লাশী চালানো যায় না। 5. আইন অনুযায়ী পুলিশ লক আপে আপনাকে কোনওপ্রকার শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করতে পারে না। এমনকি চড় মারতেও পারে না। এবার জেনে নিন কীভাবে পুলিশ আপনাকে হয়রানি করতে পারে ও এক্ষেত্রে কী করবেন- 1. সাধারণ ভাবে সরকারবিরোধী, শাসক দল বিরোধী কোনও পোষ্টের জন্য পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ বাক স্বাধীনতার অধিকার ...

সূর্য গ্রহণ হলে খাওয়া উচিৎ নয়। সত্য না মিথ্যা?

ছবি
গ্রহণের সময়ে খাওয়া উচিত নয়? কিন্তু কেনো?  সূর্যের আলো পড়ে না, তাই জীবাণু বাড়ে। এমন টাই বাড়ির বড় রা বলে থাকেন। কিন্তু এর আসল ঘটনা হলো.. আসলে, ওই সময় সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়েনা  কারণ চাঁদ সূর্যের সামনে এসে পড়ে, কাজেই সূর্য ঢাকা পড়ে যায়(যেহেতু চাঁদ গার্ড করে) তাই তার ছায়া পড়ে অন্ধকার দেখায়।  ঠিক এরকম -     ☀ 🌗 🌏 আবার,  পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর যে দিক টা সূর্যের সামনে আসে তখন ওই অংশে সূর্য রশ্মি পরে ও দিন হয় এবং অপর অংশে সূর্য ঢাকা পড়ে যাবার কারণেই  রাত্রি ঘটে। অর্থাৎ, ঠিক সূর্য গ্রহণের মতই আমরা প্রতি ভোরে, সন্ধ্যে, ও রাতেও সূর্য রশ্মি পাই না। সূর্য রশ্মি না পাবার কারণে জীবাণু বেড়ে ওঠে। কিন্তু যদি এই কারণে খাওয়া বন্ধ রাখতে হয় তাহলে রাতের বেলাতেও খাওয়া দাওয়া করা উচিত নয়।কারণ তখনও পৃথিবীতে সূর্যের আলো পড়ে না।  তবে এটা সত্যি যে সূর্যের আলো ও উত্তাপ জীবাণু নাশক। কিন্তু সূর্যের আলো উত্তাপ ঋতু, জলবায়ু এবং দিন রাত্রি হবার কারণে সব সময়েই কম বেশী বাড়া কমা করতে থাকে, সেই অনুপাতে জীবাণুর সক্রিয়তা বাড়া কমা করতে থাকে, তার জন্য কোনো সময়েই আমাদের আঢা...

রহস্য দিঘী: দ্বিতীয় পর্ব

ছবি
রহস্য দিঘী: পর্ব দ্বিতীয় তাই ওরা চার বন্ধু মিলে পণ করলো, এর পিছনে যাদের হাত আছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে ওরা। রনি জানতে চাইলো, "জেলেরা কোন ধনী ব্যাক্তির কথা বলছিল? হারা বললো," মদনমোহন বাবু, তার কথাই বলছিল ওরা, ওটা ভীষণ চালাক, পয়সার জন্যে সব কিছু পারে, ধূর্ত, লোভী " পান্না বললো," লোক ঠকিয়ে বড়লোক হয়েছে, গ্রামের মানুষের সরলতা কে হাতিয়ার বানিয়ে লুঠ করেছে অনেকের জমি, সম্পত্তি। " রনি বললো, কাল তাহলে মামার সাথে গিয়ে একবার আলাপ সেরে আসব, কি বলিস? সবাই বললো, তা যাও, কিন্তু তার টিকি ও ছুঁতে পারবে না, বড্ড চালাক! -বেশ তবে দেখাই যাক। সত্যের জন্য একটা চান্স নিতেই হবে, না জানি শিয়াল টা আরো কত ক্ষতি করবে সরল মানুষ গুলোর, এই বলে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে রনি মামা বাড়ি চলে এলো, মামা কে সমস্ত টা জানালো, মামী রান্নাঘর থেকে শুনতে পেয়ে বললো, ওর জন্য ছোটবেলায় একবার হেনস্থা হতে হয়েছিল আমার এক বান্ধবী কে.. লজ্জায় অপবাদে পরিবার সহ গ্রাম ছাড়া হতে হয়েছিল তাকে। সরল গ্রামের মেয়ে গুলোর না জানি কত সর্বনাশ করেছে শিয়াল টা, আমি চাই ওর শাস্তি হোক, পয়সার জোর সব কিছুকে ধামাচাপ...