সাহিত্যে নবজাগরণ

 সাহিত্যে নবজাগরণ


সাহিত্যে নবজাগরণ :

 দান্তে আলিঘেরি :
ইতালীয় নবজাগরণের অন্যতম মহাকবি ছিলেন দান্তে আলিঘেরি। ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করল মাতৃভাষা তাসকান ভাষায় রচনার পক্ষপাতী ছিলেন। এই  ভাষা থেকে আধুনিক ইতালিও ভাষার সৃষ্টি। তার রচিত 'ডিভাইন কমেডি' ইতালীয় ভাষায় রচিত এক অমর সৃষ্টি। এই কাব্যগ্রন্থে মধ্যযুগীয় জীবনধারার সমালোচনা মানুষের প্রেম ভালোবাসা দেশপ্রেম এইসব লেখা আছে। এনাকে ইতালীয় নবজাগরণের অগ্রদূত বলা হয়

ফ্রান্সিসকো পেট্রার্ক : ইনি ছিলেন ফ্লোরেন্সের অধিবাসী। এনাকেই মানবতা বাদের প্রবর্তক ও এই যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী বলা হয়। তিনি সনেট বা চতুর্দশ পদী কবিতার জনক হিসেবে পরিচিত। ইতালিয়া মনীষীদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম হোমারের লেখা ইলিয়াড ও ওডিসি কাব্যের ল্যাটিন অনুবাদ করেন। কার লেখা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম হল 'সনেট টু লরা'।
গিভানি বোকাচ্চিও : এনেছিলেন পেট্রার্ক এর শিষ্য এবং একজন বিশিষ্ট কবি। তাকে ইতালীয় গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। তার লেখা 'ডেকামেরন' একটি জীবনমুখী কাব্যগ্রন্থ। এটি তার রচিত একশটি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ তিনি সমাজের নানা দুর্নীতি তুলে ধরেছেন।

নিকলো মেকিয়াভেলি : এনেছিলেন একজন নাট্যকার ঐতিহাসিক কবি ও রাজনৈতিকমত দাতা। তার 'দি প্রিন্স' নামক রাজনীতি বিষয় গ্রন্থির জন্য তিনি আজও বিখ্যাত হয়ে আছেন। তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

স্যার ফ্রান্সিস বেকন : ইংল্যান্ডের নবজাগরণের ইতিহাসে যিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন তিনি ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন। তিনি ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মধ্যযুগীয় শিক্ষাদানাকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বলতেন যে একমাত্র যুক্তির দ্বারা পরীক্ষিত বিষয়গুলিকে গ্রহণ করা যাবে অন্য কিছুকে নয়। তার লেখা অ্যাডভান্সমেন্ট অফ লার্নিং বইটি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। তাকে ইংরেজি দর্শন এর আদিগুরু বলা হয়।

উইলিয়াম শেক্সপীয়ার : ষোড়শ শতকে রানী এলিজাবেথের রাজত্বকালে ইংল্যান্ডের সাহিত্য জগতে প্রভূত উন্নতি দেখা যায়। তার রাজত্বকাল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সুবর্ণ যুগ নামে খ্যাত। এই যুগে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের আবির্ভাব হয়। কেবলমাত্র ইংল্যান্ড নয় তিনি ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। তিনি ম্যাকবেথ হ্যামলেট কিং  লিয়ার জুলিয়াস সিজার মার্চেন্ট অফ ভেনিস প্রভৃতি ৩৭টি নাটক রচনা করেন। এইসব নাটকের মানব জীবনের নানা আসা, ব্যথা বেদনা দেশপ্রেম এবং সমকালীন জীবন যাত্রার নিখোঁজ চিত্র ফুটে উঠেছে।

ডেসিডেরিআস ইরাসমাস : এনেছিলেন হল্যান্ডের অধিবাসী। তাকে মানবতাবাদীদের রাজপুত্র বলা হয়। তার লেখা গ্রন্থটির নাম ছিল 'ইন প্রেইস অফ ফলি '। তিনি গির্জা ধর্ম যাজক তাদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতি কে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। তিনি যুক্তিগ্রাহ্য বিষয় ছাড়া কিছুই মানতে রাজি ছিলেন না। তাই তাকে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের প্রেরণা দাতা বলা হয়।

Pdf Link through our telegram channel -

এই রঙিন শব্দে ক্লিক করুন এবং তারপর লিংকটিতে প্রেস করুন -

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইউরোপের নবজাগরণ

ধর্মসংস্কার আন্দোলন

ছোটোদের রহস্য গল্প :