ছোটোদের রহস্য গল্প :
ছোটোদের রহস্য গল্প :
::রহস্য দিঘী::
::রহস্য দিঘী::
ভূত পর্ব : প্রথম পর্ব
রনির মামার বাড়ি এক প্রত্যন্ত গ্রামে। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হতেই সে গ্রামে মামাবাড়ি তে রওনা দিলো। বাড়ি থেকে ট্রেনে খানিকটা পথ। সেখানে তার মামা মামী সকলেই আছেন। জায়গা টা বড় সুন্দর, পদ্ম পুকুরে ভর্তি। আরো আছে সুন্দর বড় বড় দিঘী। তাতে জেলে রা প্রচুর মাছ ধরে।
রনির মামার বাড়ির পাশে এক পোড়ো মন্দির আছে। ছোট্ট বেলা থেকেই এই জায়গা টা রনির খুবই প্রিয়। চারিদিকে কেবল রহস্য রহস্য ভাব!
গরমের দিনে তাই সে দুপুর বেলায় একলা এই পোড়ো মন্দিরে বসে থাকে। সাথে নিয়ে নেয়, হারা, পান্না, মণি কে। ওর বয়সী ছেলে।মণি টা একটু বয়সে ছোট, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে । এই গ্রামেই তাদের বাড়ি।বাড়ি বলতে মাটির বাড়ি। গরিব চাষার সন্তান তারা। মণি ছোট্ট থেকেই গেছো। দুস্টু প্রকৃতির। বড় বড় সাপ ধরতে ওস্তাদ একেবারে। দৌড়ে কেউ ধরতে পারে না। গাছে উঠতে পারে নিমেষে। এমন অসাধারণ গুণ তার।
রনি শহুরে ছেলে। এসব কাজে খুব একটা পটু না হলেও, তার জ্ঞান বেশ ভালো। তুখোড় বুদ্ধি।
রনির মামার বাড়ি এক প্রত্যন্ত গ্রামে। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হতেই সে গ্রামে মামাবাড়ি তে রওনা দিলো। বাড়ি থেকে ট্রেনে খানিকটা পথ। সেখানে তার মামা মামী সকলেই আছেন। জায়গা টা বড় সুন্দর, পদ্ম পুকুরে ভর্তি। আরো আছে সুন্দর বড় বড় দিঘী। তাতে জেলে রা প্রচুর মাছ ধরে।
রনির মামার বাড়ির পাশে এক পোড়ো মন্দির আছে। ছোট্ট বেলা থেকেই এই জায়গা টা রনির খুবই প্রিয়। চারিদিকে কেবল রহস্য রহস্য ভাব!
গরমের দিনে তাই সে দুপুর বেলায় একলা এই পোড়ো মন্দিরে বসে থাকে। সাথে নিয়ে নেয়, হারা, পান্না, মণি কে। ওর বয়সী ছেলে।মণি টা একটু বয়সে ছোট, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে । এই গ্রামেই তাদের বাড়ি।বাড়ি বলতে মাটির বাড়ি। গরিব চাষার সন্তান তারা। মণি ছোট্ট থেকেই গেছো। দুস্টু প্রকৃতির। বড় বড় সাপ ধরতে ওস্তাদ একেবারে। দৌড়ে কেউ ধরতে পারে না। গাছে উঠতে পারে নিমেষে। এমন অসাধারণ গুণ তার।
রনি শহুরে ছেলে। এসব কাজে খুব একটা পটু না হলেও, তার জ্ঞান বেশ ভালো। তুখোড় বুদ্ধি।
হারা, পান্না বেজায় ভালো মানুষ, ওরাও গ্রামের পাঠশালা তে পড়াশোনা করে।
এই গেলো চার বন্ধুর কথা।
এবার আসি আসল গল্পে... সেবার গ্রামময় রটে গেলো, বড় দিঘী তে নাকি জলভূত আস্তানা গেড়েছে! মাছ গুলো সব মরেছে, জেলেদের পেটে ভাত জুটছে না। সবাই রে রে.. করে তেড়ে গেলো দিঘীর পাড়ের এক ঝুপরি ঘরে। টেনে আনল এক হত দরিদ্র বুড়ি কে। মাথায় তার জটা ধরা চুল।
জেলেরা বললো, "তুই ডাইনি, আজ তোর জন্যে এমন অবস্থা আমাদের.. বল জল ভূত কে কোন তন্ত্র মন্ত্রে ডেকে এনেছিস? নাহলে তোকে গ্রাম থেকে তাড়াব।"
এই গেলো চার বন্ধুর কথা।
এবার আসি আসল গল্পে... সেবার গ্রামময় রটে গেলো, বড় দিঘী তে নাকি জলভূত আস্তানা গেড়েছে! মাছ গুলো সব মরেছে, জেলেদের পেটে ভাত জুটছে না। সবাই রে রে.. করে তেড়ে গেলো দিঘীর পাড়ের এক ঝুপরি ঘরে। টেনে আনল এক হত দরিদ্র বুড়ি কে। মাথায় তার জটা ধরা চুল।
জেলেরা বললো, "তুই ডাইনি, আজ তোর জন্যে এমন অবস্থা আমাদের.. বল জল ভূত কে কোন তন্ত্র মন্ত্রে ডেকে এনেছিস? নাহলে তোকে গ্রাম থেকে তাড়াব।"
শহুরে ছেলে রনি, ভূতের ভয় পায় না। বিশ্বাস করে না। সে এসব শুনে দৌড়ে এলো, প্রতিবাদ করলো। সে বললো, "এসব তোমরা কি বলছো? ওনার কি দোষ?"
জেলেরা বলে উঠলো, "এই বুড়ি কয়দিন ধরে রাতে দিঘীর পাশে লন্ঠন জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই আমরা ওকে সন্দেহ করি। আমাদের গ্রামের সব থেকে যিনি ধনী ব্যাক্তি, তিনি বলেছেন,..
এই বুড়ি নাকি আমাদের পুকুরে জল ভূত ছেড়েছে, এখন যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পুকুর বেচে দিতে হবে নাহলে তন্ত্র-মন্ত্র-ভূতে গ্রাম উজাড় হবে! "
রনি আর কিছু বললো না। চুপচাপ চলে এলো সেখান থেকে। সন্ধ্যে নামতেই সে বুড়ির বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কেনো সে রাতে লন্ঠন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়?
বুড়ি বললো," বাছা, বেশ ক'দিন ধরে মনে হচ্ছে কারা যেনো রাতে পুকুরে আসে কথা বলে, আলো নিয়ে বাইরে বেরোতেই ছায়া মূর্তির মতো উধাও হয়ে যায়!
রনি সমস্ত টা বুঝতে পারলো এবার, নাহ্ সে ভুল সন্দেহ করেনি তাহলে....... (To be continued)
জেলেরা বলে উঠলো, "এই বুড়ি কয়দিন ধরে রাতে দিঘীর পাশে লন্ঠন জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই আমরা ওকে সন্দেহ করি। আমাদের গ্রামের সব থেকে যিনি ধনী ব্যাক্তি, তিনি বলেছেন,..
এই বুড়ি নাকি আমাদের পুকুরে জল ভূত ছেড়েছে, এখন যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পুকুর বেচে দিতে হবে নাহলে তন্ত্র-মন্ত্র-ভূতে গ্রাম উজাড় হবে! "
রনি আর কিছু বললো না। চুপচাপ চলে এলো সেখান থেকে। সন্ধ্যে নামতেই সে বুড়ির বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কেনো সে রাতে লন্ঠন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়?
বুড়ি বললো," বাছা, বেশ ক'দিন ধরে মনে হচ্ছে কারা যেনো রাতে পুকুরে আসে কথা বলে, আলো নিয়ে বাইরে বেরোতেই ছায়া মূর্তির মতো উধাও হয়ে যায়!
রনি সমস্ত টা বুঝতে পারলো এবার, নাহ্ সে ভুল সন্দেহ করেনি তাহলে....... (To be continued)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন