ছোটদের নীতিকথার গল্প
(এক ব্যধ ও হরিণ শাবকের গল্প )
সে অনেক যুগ আগের কথা। এক দেশে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ ছিল। সে প্রতিদিন পশু হত্যা করে জীবিকা চালাতো। এভাবেই তার জীবন কাটতে লাগলো।
একদিন সে শিকার খুঁজতে খুঁজতে অনেক দূর চলে গেলো। ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। সে জঙ্গলের মধ্যে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে পেলো না। তার মনে মনে ভয় হতে লাগলো। বাড়িতে তার সন্তান রা পথ চেয়ে থাকবে। অনেকদিন হলো, তাদের মা মারা গেছে। অনাহারে তাদের থাকতে হবে ভেবে ব্যাধের চোখে জল এলো। এমন অবস্থায় হঠাৎ দেখলো এক হরিণ শাবক একা দাঁড়িয়ে আছে। সহসা ব্যাধ বিদ্যুতের গতির বেগে ধনুক তুলে নিলেন। তীর তাক করতে মনে হলো, হরিণ বাচ্চা টি কাঁদছে!
ব্যাধের মনে দয়া হল। সে জানতে চাইলো, কেনো সে কাঁদছে?
বাচ্চা টি বললো, সে তার মা কে হারিয়ে ফেলেছে, পথ ভুলেছে এই বনের মধ্যে। ব্যাধের তার সন্তানদের কথা মনে পড়তেই স্নেহ জন্মাল। সে বাচ্চা টিকে কোলে তুলে নিয়ে তার মা কে খুঁজতে লাগলো। বেশ কিছু দূর গিয়ে এক গুহা দেখতে পেলো। দেখে কি, একটা হরিণ তার কিছু বাচ্চা দের সাথে করে খুব কাঁদছে। মা কে এবং ভাইবোনদের দেখতে পেয়ে সে কোল থেকে লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে গেলো মায়ের কাছে। মা তাকে আদর করতে লাগলো।
হরিণ মা ব্যাধ কে বললো, "আমি আপনার জন্যও কি উপকার করতে পারি, হে মহাশয়? "
ব্যাধ বললো, "মা, আমিও আমার বাড়ির পথ ভুলে গেছি। সেখানে আমার সন্তানেরা অনাহারে আছে, কিছু উপায় করুন। "
হরিণ মা তাকে জঙ্গলের বাইরে পর্যন্ত ছেড়ে এলো, সাথে উপহার হিসাবে বেশ কিছু উচ্চ মানের বীজ দিলো, বললো গ্রামের উত্তর দিকে এক উর্বর জমি আছে, সেখানে এই বীজ বপন করতে হবে।
ব্যাধ তার কথা মত সব করলো, মাটি কাটলো, ফসল ফলাল। বছর ঘুরতে ঘুরতে অঢেল শস্য উৎপাদন হলো। সে সব বেচে ব্যাধ ধীরে ধীরে অনেক বিত্তশালী হয়ে উঠলো। সে তার নিষ্ঠুরতা ত্যাগ করে পরিশ্রমী হয়ে উঠলো।
পরিস্থিতি এবং সাফল্য মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটায়।
একদিন সে শিকার খুঁজতে খুঁজতে অনেক দূর চলে গেলো। ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। সে জঙ্গলের মধ্যে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে পেলো না। তার মনে মনে ভয় হতে লাগলো। বাড়িতে তার সন্তান রা পথ চেয়ে থাকবে। অনেকদিন হলো, তাদের মা মারা গেছে। অনাহারে তাদের থাকতে হবে ভেবে ব্যাধের চোখে জল এলো। এমন অবস্থায় হঠাৎ দেখলো এক হরিণ শাবক একা দাঁড়িয়ে আছে। সহসা ব্যাধ বিদ্যুতের গতির বেগে ধনুক তুলে নিলেন। তীর তাক করতে মনে হলো, হরিণ বাচ্চা টি কাঁদছে!
ব্যাধের মনে দয়া হল। সে জানতে চাইলো, কেনো সে কাঁদছে?
বাচ্চা টি বললো, সে তার মা কে হারিয়ে ফেলেছে, পথ ভুলেছে এই বনের মধ্যে। ব্যাধের তার সন্তানদের কথা মনে পড়তেই স্নেহ জন্মাল। সে বাচ্চা টিকে কোলে তুলে নিয়ে তার মা কে খুঁজতে লাগলো। বেশ কিছু দূর গিয়ে এক গুহা দেখতে পেলো। দেখে কি, একটা হরিণ তার কিছু বাচ্চা দের সাথে করে খুব কাঁদছে। মা কে এবং ভাইবোনদের দেখতে পেয়ে সে কোল থেকে লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে গেলো মায়ের কাছে। মা তাকে আদর করতে লাগলো।
হরিণ মা ব্যাধ কে বললো, "আমি আপনার জন্যও কি উপকার করতে পারি, হে মহাশয়? "
ব্যাধ বললো, "মা, আমিও আমার বাড়ির পথ ভুলে গেছি। সেখানে আমার সন্তানেরা অনাহারে আছে, কিছু উপায় করুন। "
হরিণ মা তাকে জঙ্গলের বাইরে পর্যন্ত ছেড়ে এলো, সাথে উপহার হিসাবে বেশ কিছু উচ্চ মানের বীজ দিলো, বললো গ্রামের উত্তর দিকে এক উর্বর জমি আছে, সেখানে এই বীজ বপন করতে হবে।
ব্যাধ তার কথা মত সব করলো, মাটি কাটলো, ফসল ফলাল। বছর ঘুরতে ঘুরতে অঢেল শস্য উৎপাদন হলো। সে সব বেচে ব্যাধ ধীরে ধীরে অনেক বিত্তশালী হয়ে উঠলো। সে তার নিষ্ঠুরতা ত্যাগ করে পরিশ্রমী হয়ে উঠলো।
পরিস্থিতি এবং সাফল্য মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটায়।
Nice
উত্তরমুছুন