পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রহস্য দিঘী: দ্বিতীয় পর্ব

ছবি
রহস্য দিঘী: পর্ব দ্বিতীয় তাই ওরা চার বন্ধু মিলে পণ করলো, এর পিছনে যাদের হাত আছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে ওরা। রনি জানতে চাইলো, "জেলেরা কোন ধনী ব্যাক্তির কথা বলছিল? হারা বললো," মদনমোহন বাবু, তার কথাই বলছিল ওরা, ওটা ভীষণ চালাক, পয়সার জন্যে সব কিছু পারে, ধূর্ত, লোভী " পান্না বললো," লোক ঠকিয়ে বড়লোক হয়েছে, গ্রামের মানুষের সরলতা কে হাতিয়ার বানিয়ে লুঠ করেছে অনেকের জমি, সম্পত্তি। " রনি বললো, কাল তাহলে মামার সাথে গিয়ে একবার আলাপ সেরে আসব, কি বলিস? সবাই বললো, তা যাও, কিন্তু তার টিকি ও ছুঁতে পারবে না, বড্ড চালাক! -বেশ তবে দেখাই যাক। সত্যের জন্য একটা চান্স নিতেই হবে, না জানি শিয়াল টা আরো কত ক্ষতি করবে সরল মানুষ গুলোর, এই বলে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে রনি মামা বাড়ি চলে এলো, মামা কে সমস্ত টা জানালো, মামী রান্নাঘর থেকে শুনতে পেয়ে বললো, ওর জন্য ছোটবেলায় একবার হেনস্থা হতে হয়েছিল আমার এক বান্ধবী কে.. লজ্জায় অপবাদে পরিবার সহ গ্রাম ছাড়া হতে হয়েছিল তাকে। সরল গ্রামের মেয়ে গুলোর না জানি কত সর্বনাশ করেছে শিয়াল টা, আমি চাই ওর শাস্তি হোক, পয়সার জোর সব কিছুকে ধামাচাপ...

ছোটোদের রহস্য গল্প :

ছবি
ছোটোদের রহস্য গল্প :                                         ::রহস্য দিঘী:: ভূত পর্ব : প্রথম পর্ব রনির মামার বাড়ি এক প্রত্যন্ত গ্রামে। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হতেই সে গ্রামে মামাবাড়ি তে রওনা দিলো। বাড়ি থেকে ট্রেনে খানিকটা পথ। সেখানে তার মামা মামী সকলেই আছেন। জায়গা টা বড় সুন্দর, পদ্ম পুকুরে ভর্তি। আরো আছে সুন্দর বড় বড় দিঘী। তাতে জেলে রা প্রচুর মাছ ধরে। রনির মামার বাড়ির পাশে এক পোড়ো মন্দির আছে। ছোট্ট বেলা থেকেই এই জায়গা টা রনির খুবই প্রিয়। চারিদিকে কেবল রহস্য রহস্য ভাব! গরমের দিনে তাই সে দুপুর বেলায় একলা এই পোড়ো মন্দিরে বসে থাকে। সাথে নিয়ে নেয়, হারা, পান্না, মণি কে। ওর বয়সী ছেলে।মণি টা একটু বয়সে ছোট, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে । এই গ্রামেই তাদের বাড়ি।বাড়ি বলতে মাটির বাড়ি। গরিব চাষার সন্তান তারা। মণি ছোট্ট থেকেই গেছো। দুস্টু প্রকৃতির। বড় বড় সাপ ধরতে ওস্তাদ একেবারে। দৌড়ে কেউ ধরতে পারে ...

ছোটদের নীতিকথার গল্প

(এক ব্যধ ও হরিণ শাবকের গল্প ) সে অনেক যুগ আগের কথা। এক দেশে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ ছিল। সে প্রতিদিন পশু হত্যা করে জীবিকা চালাতো। এভাবেই তার জীবন কাটতে লাগলো। একদিন সে শিকার খুঁজতে খুঁজতে অনেক দূর চলে গেলো। ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। সে জঙ্গলের মধ্যে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে পেলো না। তার মনে মনে ভয় হতে লাগলো। বাড়িতে তার সন্তান রা পথ চেয়ে থাকবে। অনেকদিন হলো, তাদের মা মারা গেছে। অনাহারে তাদের থাকতে হবে ভেবে ব্যাধের  চোখে জল এলো। এমন অবস্থায় হঠাৎ দেখলো এক হরিণ শাবক একা দাঁড়িয়ে আছে। সহসা ব্যাধ বিদ্যুতের গতির বেগে ধনুক তুলে নিলেন। তীর তাক করতে মনে হলো, হরিণ বাচ্চা টি কাঁদছে! ব্যাধের মনে দয়া হল। সে জানতে চাইলো, কেনো সে কাঁদছে? বাচ্চা টি বললো, সে তার মা কে হারিয়ে ফেলেছে, পথ ভুলেছে এই বনের মধ্যে। ব্যাধের তার সন্তানদের কথা মনে পড়তেই স্নেহ জন্মাল। সে বাচ্চা টিকে কোলে তুলে নিয়ে তার মা কে খুঁজতে লাগলো। বেশ কিছু দূর গিয়ে এক গুহা দেখতে পেলো। দেখে কি, একটা হরিণ তার কিছু বাচ্চা দের সাথে করে খুব কাঁদছে। মা কে এবং ভাইবোনদের দেখতে পেয়ে সে কোল থেকে লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে গেলো মায়ের কাছে। মা তাক...